ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধর, নার্সদের হেনস্তা ও ভাংচুর করার প্রতিবাদে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহাক করেছ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে কাজে ফিরেছেন বলে জানান তারা।ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম ভুঁইয়া তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে নিশ্চিত ঘোষণা দেওয়ার পরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতকরনে হাসপাতালে বেশ কিছু পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। এছড়া হাসপাতালে অনসার সদস্য বৃদ্ধির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। হাসপাতালের পরিচালক আমাদের আশ্বাস দিয়েছে এমন অপ্রিতকর ঘটনা আর ঘটবে না। তাই আমরা আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদের সাথে হাসপাতালটির পরিচালকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠক শেষে নিজেদের নিরাপত্তা আরও জোরদারের দাবি জানিয়েছিলেন। তারা ঘোষণা করেছিলেন বুধবার ১২টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণ হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হবে। অন্যতায় তা চলবে।
কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই দফায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করলেও কর্মবিরতি থেকে সরে যাননি আন্দোলনকারীরা। আজ আবারও সমস্যার সমাধানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বৈঠক শেষে বুধবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১২ পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তারা।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে হাসপাতালের ৩৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগী মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে রোগীর স্বজনদের কথাকাটাকাটি হয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা করেন। এসময় চিকিৎসকরা দৌড়ে পাশের ওয়ার্ডে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এরপর রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে চিকিৎসকের কক্ষে ও নার্সের কক্ষে ভাংচুর চালান। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বৈঠক করে অনির্দিষ্টাকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টান চিকিৎসক পরিষদ।