৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে। কয়েকদিন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকার পর ১৫ আগস্ট থেকে আদালত ও থানাপুলিশের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়। এরপর থেকে সিলেটসহ সারা দেশে একের পর মামলা হতে থাকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সিলেটেও এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে বিভিন্ন আদালত ও থানায়।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনস্থ নির্বাচনে সিলেট—৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। এতে তিনি সমালোচনার শিকার হন। প্রথমদিকে হুছামুদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা না হলেও গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিস্ফোরক আইনে
সিলেট আদালতে দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৪ আগস্ট বিকালে সিলেট মহাগরের জিন্দাবাজার এলাকার সমবায় ভবনের সামনে ছাত্র—জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিতে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ—সংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা অস্ত্র—শস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার
সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন আদালতে আদালতে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন মহানগরের শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা মো. ইমরান আহমদ (৩৬)। এ মামলায় আসামি হিসেবে বাংলাদেশ আনজুমানে আল—ইসলাহর সভাপতি ও সিলেট—৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, সিলেটের সাবেক সিটি মেয়ের ও ৯ জন মন্ত্রী—এমপিসহ ৬০ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০—৩০০জনকে।
মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন— সিলেট—১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন, সিলেট—২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট—৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট—৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিলেট—৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবির, সিলেট—৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ. বিএমএ নেতা ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলা্ল, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার হোসেন, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আহদ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ঠিকাদার লুৎফুর রহমান, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ—১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজের পদচ্যুত অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহদ, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ পলাশ, কানাইঘাটের লেঙ্গুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ দাস, সিলেট চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমদ, জেলা পরিষদ সদস্য ফয়ছল আহমদ, বৈচিত্রময় সিলেট’র সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন।