স্টাফ রিপোর্টার:
অন্তর্বতীর্ সরকারের নির্বাচনী তপশীল কিংবা রোড ম্যাপ ঘোষনা না করলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। অনেকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে দলীয় নেতাকমীর্দের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। বিভিন্ন সামাজিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যোগদান করে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে জানান দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সিলেট জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে যাদের নাম উঠে আসছে তারা হলেন—
সিলেট—১ ( সিলেট সদর ও সিটিকরপোরেশন) আসনে সাবেক এমপি মরহুম খন্দকার আব্দুল মালিকের সুযোগ্যপুত্র খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এর এককভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে।
সিলেট— ২ ( বিশ্বনাথ—বালাগঞ্জ) আসনে বিএনপি’র সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গুম হওয়া বিএনপি নেতা এম ইলিয়াছ আলীর সহধমীর্নি তাহসিনা রশদির লুনা’র নাম ভেসে বেড়াচ্ছেন।
সিলেট—৩ ( দক্ষিন সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ—ওসমানী নগর) আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ব্যারিষ্টার আব্দুল সালাম, বর্তমান জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি আব্দুল মালেক এর নাম উঠে আসছে। ইতিমধ্যে আব্দুল মালিক যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে দলীয় নেতাকমীর্দের সাথে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে জানান দিচ্ছেন।
সিলেট—৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে সাবেক এমপি দিলদার হোসেন এর সহধমীর্নি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা লন্ডন প্রবাসী হেলাল আহমদ প্রমুখ।
সিলেট—৫(কানাইঘাট—জকিগঞ্জ) আসনে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ—সভাপতি প্রভাবশীল যুব নেতা ছিদ্দিকুর রহমান পাপুল, জেলা বিএনপি’র সহ—সভাপতি ও চাকসু মামুন প্রমুখ।
সিলেট—৬ (গোলাপগঞ্জ—বিয়ানীবাজার) আসনে সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সাবেক জেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী শামীম, বিএনপি চেয়ারসার্পনের উপদেস্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী , জেলা বিএনপি’র নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, অন্তবর্তী সরকার এখনও জাতীয় সংসদ নির্বাচনী রোড ম্যাপ কিংবা নির্বাচনী তপশীল ঘোষনা করেন নাই। তবে বিএনপি দীর্ঘ বছর ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারেনি স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে। তাই বর্তমান অন্তর্বতীর্ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দেশবাসীর সাথে আমরাও বিশ্বাস করি। তাই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় আসতেই পারে এবং দলীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করতে পারেন। যা তাদের নাগরিক অধিকার। সরকার যখন তপশীল ঘোষনা করবে তখনও বিএনপি’র দলীয় হাই কমান্ড মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা চুড়ান্ত করতে দলীয় ফরম বিতরণের ঘোষনা দিবেন এবং চুড়ান্তভাবে মনোনিত প্রার্থীরাই দলীয় প্রতিক নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।