হাওরাঞ্চল ডেস্ক:
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর রাজধানীর অন্তত আটটি গণমাধ্যম কার্যালয়ে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারী জনতা। এ ছাড়া একাধিক টেলিভিশনের গাড়িতেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিভিন্ন সময়ে একাত্তর টিভি, সময় টেলিভিশন, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, ডিবিসি নিউজ, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ, মাইটিভি ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুপুরের পর বারিধারায় বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর ও মহাখালীতে ডিবিসি নিউজের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধরা নিরাপত্তা দেয়াল ভেঙে অফিসে ঢুকে যান। তারা ক্যামেরাসহ জিনিসপত্র নিয়ে যান। হামলাকারীরা ওই ভবনের ছয়তলা থেকে কম্পিউটার নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেন বলে জানা গেছে।
তেজগাঁওয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কার্যালয়ের নিচে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মীরা আটকে দেন। তেজগাঁওয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের কার্যালয়ের নিচে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মীরা আটকে দেন।
এদিকে বাংলামোটরে সময় টেলিভিশনের কার্যালয়ের নিচে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কারওয়ান বাজারে এটিএন বাংলার সামনে রাখা একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এটিএন বাংলা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে স্টেশনে হামলা চালান উত্তেজিত জনতা। কারওয়ান বাজারে আরেক গণমাধ্যম এটিএন নিউজের সামনে রাখা গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। একপর্যায়ে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
এ ছাড়া মহাখালী ওয়্যারলেস গেট এলাকায় বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের ভবনে হামলা হয় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধরা ডিবিসি ভবন লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ লাথি মেরে ভবনের গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কয়েকজন ভেতরে ঢুকলেও আশপাশের লোকজন তাদের নিবৃত্ত করেন।
এ দিকে হাতির ঝিল এলাকায় মাইটিভি’র অফিস ভাংচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এখন পযন্ত সম্প্রচার চালাতে পারেনি টেলিভিশনটি। দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকা অফিসও ভাংচুর করেছে।